মানুষের জীবনে রসের দরকার আছে, সেই রস আবার রঙ্গরস হলে বেশ জমে। ঠাট্টা, ইয়ার্কি, দুষ্টুমি, রঙ্গ, রসিকতা, প্রহসন ইত্যাদি ছাড়া জীবন বড় রূঢ় আর কঠিন হয়ে যায়। সাহিত্যেও তাই রঙ্গ—ব্যঙ্গের বড় ভূমিকা আছে বলে বিবেচনা করি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রসিক কথাকার আবুল মনসুর আহমেদ তার ‘ব্যঙ্গ কবিতা’ শিরোনামের প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ‘মানুষ স্বভাবতই রসিক। রসিকতাটাই আমার মতে পশু ও মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্থক্য। রসিকতা মানুষের অন্যতম জীবনীশক্তি এ রস সব মানুষের মধ্যে আছে কারও প্রকাশ, কারও অপ্রকাশ এই যা পার্থক্য। রসিকতার রসে রসাল না হলে মানবজীবন শুকনা কাঠ হয়ে যেত। এরই জন্যই রাজা—বাদশাহর দরবারে মাইনে করা ভাঁড়—মোসাহেব রাখা হতো।’ আফসোস, সেই আগের যুগ নেই, রাজা—বাদশাহ নেই, ভাঁড়রাও বিলুপ্ত। স্যোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেকেই এখন স্বঘোষিত ভাঁড়ের ভূমিকা নিয়েছেন।
মানুষের জীবনে রসের দরকার আছে, সেই রস আবার রঙ্গরস হলে বেশ জমে। ঠাট্টা, ইয়ার্কি, দুষ্টুমি, রঙ্গ, রসিকতা, প্রহসন ইত্যাদি ছাড়া জীবন বড় রূঢ় আর কঠিন হয়ে যায়। সাহিত্যেও তাই রঙ্গ—ব্যঙ্গের বড় ভূমিকা আছে বলে বিবেচনা করি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রসিক কথাকার আবুল মনসুর আহমেদ তার ‘ব্যঙ্গ কবিতা’ শিরোনামের প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ‘মানুষ স্বভাবতই রসিক। রসিকতাটাই আমার মতে পশু ও মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্থক্য। রসিকতা মানুষের অন্যতম জীবনীশক্তি এ রস সব মানুষের মধ্যে আছে কারও প্রকাশ, কারও অপ্রকাশ এই যা পার্থক্য। রসিকতার রসে রসাল না হলে মানবজীবন শুকনা কাঠ হয়ে যেত। এরই জন্যই রাজা—বাদশাহর দরবারে মাইনে করা ভাঁড়—মোসাহেব রাখা হতো।’ আফসোস, সেই আগের যুগ নেই, রাজা—বাদশাহ নেই, ভাঁড়রাও বিলুপ্ত। স্যোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেকেই এখন স্বঘোষিত ভাঁড়ের ভূমিকা নিয়েছেন।
কিন্তু সৈয়দ সাঈদ আমাদের এই সময়ে আলাদা ধাঁচের মানুষ। এই রসিক মানুষ এতটাই রসিক যে নিজেকে নিয়েও রসিকতা করতে ছাড়েন না। তিনি নিজেকে বলেন ‘ব্যথা—সাহিত্যিক’।
কিন্তু তার এই ‘ব্যথা—সাহিত্য’ আমাদের মুখে চিকন হাসির জোগান দেয়। কখনো বা সাঈদের রসভঙ্গিতে আমরা অট্টহাসি।
তবে বলে রাখা ভালো, এই হাসি, চিকন বা অট্ট যা—ই হোক না কেন, তা হলো আনন্দ—ফুর্তির ফোয়ারা। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর কোনো ইঙ্গিত নেই। এ কেবলই বিমল আনন্দপাঠ। এই আনন্দপাঠের সঙ্গে বাংলা ধ্রুপদি কবিতা, ছড়া যেমন আছে তেমনি আছে আধুনিক কিংবা সমকালের জনপ্রিয় গানসমূহ। সোজা কথায়, সৈয়দ সাঈদ এই সময়ের এবং চিরকালের কিছু গান, কবিতা, ছড়াকে প্যারোডি করেছেন। এই সব প্যারোডির মধ্যে কখনো সূক্ষ্ম খেঁাচা আছে, কখনো স্থূল ইয়ার্কি আছে কিন্তু দিন শেষে আমরা বহুদিন পর বাংলা ভাষায় কিছু রঙ্গ—ব্যঙ্গ কাব্য পাঠের সুযোগ পেয়ে যাই।
প্রারম্ভিকটা শেষ করি মাইকেল ম্যুরের কথা দিয়ে। মার্কিন চলচ্চিত্র জগতেই শুধু নয়, রাজনীতি এবং সমাজজীবনেও মাইকেল ম্যুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘ফারেনহাইট ৯/১১’, ‘সাইকো’র মতো প্রভাবশালী চলচ্চিত্রসমূহের নির্মাতা মাইকেল ম্যুর প্রহসন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আপনি প্রহসন নিয়ে বিতর্ক করতে পারেন না। হয় আপনি এটা বুঝবেন, না হয় বুঝবেন না।’ ব্যস, সৈয়দ সাঈদের ‘রঙ্গ—ব্যঙ্গ পদ্য’ বইটি সম্পর্কেও এ কথা প্রযোজ্য।
মুম রহমান
মানুষের জীবনে রসের দরকার আছে, সেই রস আবার রঙ্গরস হলে বেশ জমে। ঠাট্টা, ইয়ার্কি, দুষ্টুমি, রঙ্গ, রসিকতা, প্রহসন ইত্যাদি ছাড়া জীবন বড় রূঢ় আর কঠিন হয়ে যায়। সাহিত্যেও তাই রঙ্গ—ব্যঙ্গের বড় ভূমিকা আছে বলে বিবেচনা করি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রসিক কথাকার আবুল মনসুর আহমেদ তার ‘ব্যঙ্গ কবিতা’ শিরোনামের প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ‘মানুষ স্বভাবতই রসিক। রসিকতাটাই আমার মতে পশু ও মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্থক্য। রসিকতা মানুষের অন্যতম জীবনীশক্তি এ রস সব মানুষের মধ্যে আছে কারও প্রকাশ, কারও অপ্রকাশ এই যা পার্থক্য। রসিকতার রসে রসাল না হলে মানবজীবন শুকনা কাঠ হয়ে যেত। এরই জন্যই রাজা—বাদশাহর দরবারে মাইনে করা ভাঁড়—মোসাহেব রাখা হতো।’ আফসোস, সেই আগের যুগ নেই, রাজা—বাদশাহ নেই, ভাঁড়রাও বিলুপ্ত। স্যোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেকেই এখন স্বঘোষিত ভাঁড়ের ভূমিকা নিয়েছেন।
By সৈয়দ সাঈদ
Category: পদ্য
মানুষের জীবনে রসের দরকার আছে, সেই রস আবার রঙ্গরস হলে বেশ জমে। ঠাট্টা, ইয়ার্কি, দুষ্টুমি, রঙ্গ, রসিকতা, প্রহসন ইত্যাদি ছাড়া জীবন বড় রূঢ় আর কঠিন হয়ে যায়। সাহিত্যেও তাই রঙ্গ—ব্যঙ্গের বড় ভূমিকা আছে বলে বিবেচনা করি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রসিক কথাকার আবুল মনসুর আহমেদ তার ‘ব্যঙ্গ কবিতা’ শিরোনামের প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ‘মানুষ স্বভাবতই রসিক। রসিকতাটাই আমার মতে পশু ও মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্থক্য। রসিকতা মানুষের অন্যতম জীবনীশক্তি এ রস সব মানুষের মধ্যে আছে কারও প্রকাশ, কারও অপ্রকাশ এই যা পার্থক্য। রসিকতার রসে রসাল না হলে মানবজীবন শুকনা কাঠ হয়ে যেত। এরই জন্যই রাজা—বাদশাহর দরবারে মাইনে করা ভাঁড়—মোসাহেব রাখা হতো।’ আফসোস, সেই আগের যুগ নেই, রাজা—বাদশাহ নেই, ভাঁড়রাও বিলুপ্ত। স্যোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেকেই এখন স্বঘোষিত ভাঁড়ের ভূমিকা নিয়েছেন।
কিন্তু সৈয়দ সাঈদ আমাদের এই সময়ে আলাদা ধাঁচের মানুষ। এই রসিক মানুষ এতটাই রসিক যে নিজেকে নিয়েও রসিকতা করতে ছাড়েন না। তিনি নিজেকে বলেন ‘ব্যথা—সাহিত্যিক’।
কিন্তু তার এই ‘ব্যথা—সাহিত্য’ আমাদের মুখে চিকন হাসির জোগান দেয়। কখনো বা সাঈদের রসভঙ্গিতে আমরা অট্টহাসি।
তবে বলে রাখা ভালো, এই হাসি, চিকন বা অট্ট যা—ই হোক না কেন, তা হলো আনন্দ—ফুর্তির ফোয়ারা। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর কোনো ইঙ্গিত নেই। এ কেবলই বিমল আনন্দপাঠ। এই আনন্দপাঠের সঙ্গে বাংলা ধ্রুপদি কবিতা, ছড়া যেমন আছে তেমনি আছে আধুনিক কিংবা সমকালের জনপ্রিয় গানসমূহ। সোজা কথায়, সৈয়দ সাঈদ এই সময়ের এবং চিরকালের কিছু গান, কবিতা, ছড়াকে প্যারোডি করেছেন। এই সব প্যারোডির মধ্যে কখনো সূক্ষ্ম খেঁাচা আছে, কখনো স্থূল ইয়ার্কি আছে কিন্তু দিন শেষে আমরা বহুদিন পর বাংলা ভাষায় কিছু রঙ্গ—ব্যঙ্গ কাব্য পাঠের সুযোগ পেয়ে যাই।
প্রারম্ভিকটা শেষ করি মাইকেল ম্যুরের কথা দিয়ে। মার্কিন চলচ্চিত্র জগতেই শুধু নয়, রাজনীতি এবং সমাজজীবনেও মাইকেল ম্যুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘ফারেনহাইট ৯/১১’, ‘সাইকো’র মতো প্রভাবশালী চলচ্চিত্রসমূহের নির্মাতা মাইকেল ম্যুর প্রহসন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আপনি প্রহসন নিয়ে বিতর্ক করতে পারেন না। হয় আপনি এটা বুঝবেন, না হয় বুঝবেন না।’ ব্যস, সৈয়দ সাঈদের ‘রঙ্গ—ব্যঙ্গ পদ্য’ বইটি সম্পর্কেও এ কথা প্রযোজ্য।
মুম রহমান